যে ৪ কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য’ পরীক্ষা’ করানো’ উচিত!

আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অনেক ধরনের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, কম ঘুমানো, অত্যধিক মানসিক চাপ— নানা কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি বাসা বাঁধে আমাদের শরীরে। তবে প্রথম থেকে একটু সতর্কতা নিলেই রোগ জটিল হওয়ার ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। যাতে আগে থেকে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

rtv
জাতীয় রাজনীতি দেশজুড়ে বিনোদন খেলা অর্থনীতি আন্তর্জাতিক
লাইফস্টাইল
যে ৪ কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত
আরটিভি নিউজ

০২ মার্চ ২০২২, ১৫:৩৩

184
Shares
facebook sharing buttontwitter sharing buttonpinterest sharing buttonemail sharing buttonsharethis sharing button
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি
Bengal
আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অনেক ধরনের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, কম ঘুমানো, অত্যধিক মানসিক চাপ— নানা কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি বাসা বাঁধে আমাদের শরীরে। তবে প্রথম থেকে একটু সতর্কতা নিলেই রোগ জটিল হওয়ার ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। যাতে আগে থেকে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

প্রত্যেকেরই নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং ক্যানসার স্ক্রিনিং করানো দরকার। তবে কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা প্রায়ই স্বাস্থ্যের অবহেলা করি।

১. নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং করালে ক্যানসারের মতো নির্দিষ্ট কিছু রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ফলে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই চিকিত্সা শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। রোগী দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায় এই রোগ শনাক্তকরণ করা গেলে রোগীদের বেঁচে থাকার হার অনেকটাই বেড়ে যায়। পরিবারে কারও যদি ক্যানসার বা হার্টের সমস্যা থাকে, তা হলে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং করানোর ক্ষেত্রে কোনও অবহেলা করবেন না।

২. প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ শুধু বড় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি কমায় না, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি এড়াতেও সাহায্য করে।

৩. কেবল ক্যানসারই নয়, হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি আছে কি না তা জানার জন্যও নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।

৪. মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলি শনাক্ত করতে নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পুরুষদের সিরিয়াল পিএসএ (প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করা দরকার। প্রয়োজনে ট্রান্সরেক্টাল আল্ট্রাসাউন্ড (টিআরএস) করানো যেতে পারে।

ক্যানসার ছাড়া আর কী কী স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করানো উচিত?

রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ— এগুলি নিয়মিত প্রতি ছয় মাস অন্তর পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া শরীরে কোলেস্টেরল, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড, লিপিড প্রোফাইল, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও জানা দরকার। নিয়মিত চোখের পরীক্ষাও করাতে হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার।

Leave a Comment